সিদ্ধার্থ ডেক্সঃ সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থির কারণে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা গত ১৬ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে আস্তে শুরু করেছে। ভারতে সব বিমান বন্দর ও চেকপোস্টে করোনা টেস্ট করার পর নেগিটিভ সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়ে বাংলাদেশে পাঠায়। কিন্তু বাংলাদেশে আসার পর যাত্রীদের মুখোমুখি হতে হয় চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের চাঁদাবাজী অার হয়রানীর স্বীকার। গত ২০ শে আগষ্ট আগরতলা আখাইড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে চিকিৎসাধীন আটকাপড়া যাত্রীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে প্রবেশের পর চেকপোস্টে স্থানীয় হেলথের কর্মকর্তাগন তাদের স্বাস্থ্য পরিক্ষা করে। এরপর তাদের বিজয়নগর হাসপাতালে আইসোলেশনের ব্যাবস্থা করে। কিন্তু যারা জটিল রোগী বা বিভিন্ন অপারেশনের, ক্যান্সারের রোগী তাদের ছেড়ে দেওয়ার বিধান থাকলেও তাদের ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রাখে। জানা যায় যে, রোগীর সাথে থাকা অভিবাকের পাসপোর্ট আটক রেখে দাবী করা হয় মোটা অংকের টাকা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের আখাউড়া চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মোঃ হানিফ তার পিয়ন রতনের মাধ্যমে সহজে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার নামে পাসপোর্ট জব্দ করে। এরপর রোগীদের বলে আপনারা চলে যান, আর যারা রোগীর সহযোগী তাদের পাসপোর্ট আটক রেখে দাবী করে মোটা অংকের টাকা। তাদের সহযোগী ও দালালচক্র একাজে সক্রিয়।
এরপর মোঃ হানিফ বিকাল চারটায় বিজয়নগর মেডিকেলের এম্বুলেন্স এনে সবাইকে পাঠিয়ে দেন। রোগীদের অভিযোগ সকাল আটটা থেকে কেন চারটা পর্যন্ত আমাদের আটক রাখলেন। প্রয়োজনে তখন এম্বুলেন্সে করে আমাদের সবাইকে মেডিকেলে নিতেন, হয়ত রোগীসহ আমাদের অভিভাবকদের ছেড়ে দিতেন না হয় তখন গাড়ি আসলে আমরা নিজ দায়িত্বে আসতাম। এরপর এম্বুলেন্সে আসা পুলিশের কাঝছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের কি দোষ? উনি যখন আমাদের আসতে বলবে আমরা তখন আসি। চারটায় আসতে বলছে চারটায় আসলাম, সকালে বললে সকালে আসতাম। এম্বুলেন্স ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলে সেই একই জবাব দেন তিনি। তারপর পাঁচজন সবাইকে নিয়ে যায় ব্রাম্মনবাড়িয়া বিজয়নগর হাসপাতালে। সেখানে নেই কোন রোগী, নেই কোন ডাক্তার। জনমানবশূন্য একটি মেডিকেল। এরপর সকলকে নিয়ে তারা একরুমে আটক করে। এরপর তারা চাপদেয় মোটা অংকের টাকা। টাকা যে দিতে পারে, তাকে নেগেটিভ সার্টিফিকেট দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। আর যারা টাকা দিতে পারে না, তাদের করোনা রোগী বলে ঢাকা চালান করে দেবে বলে ভয় দেখায় সেখানের দালালচক্র ও এম্বুলেন্সে থাকা পুলিশ। পরে ডাক্তারবিহীন, নার্সবিহীন জনমানবশূন্য সেখানে পুলিশের দায়িত্বরত লোক, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় তাদের নিজ হাতে বানানো ছাড়পত্র দিয়ে।এসব সিভিলসার্জনকে ফোন দিয়ে তিনি জানান, ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন না থাকাটা দুঃখজনক।তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।উল্লেখ্যে যে, ভারত থেকে মেডিকেল শেষ করা রোগীরা এভাবে প্রতিনিয়ত হয়রানীর স্বীকার মোঃ হানিফ ও তার দালাল সহযোগীদের দ্বারা।
Leave a Reply