1. siddharthatv.com@gmail.com : Siddhartha TV : Siddhartha TV
  2. : admin :
  3. news@siddharthatv.com : newsdesk :
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন

ভারতে আটকা পড়া বাংলাদেশি যাত্রীরা আখাউড়া চেকপোস্টে হয়রানী ও চাঁদাবাজির শিকার

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০
  • ২৭৭ Time View
ভারতে আটকা পড়া বাংলাদেশি যাত্রীরা আখাউড়া চেকপোস্টে হয়রানী ও চাঁদাবাজির শিকার।
ভারতে আটকা পড়া বাংলাদেশি যাত্রীরা আখাউড়া চেকপোস্টে হয়রানী ও চাঁদাবাজির শিকার।

সিদ্ধার্থ ডেক্সঃ  সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থির কারণে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা গত ১৬ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে আস্তে শুরু করেছে। ভারতে সব বিমান বন্দর ও চেকপোস্টে করোনা টেস্ট করার পর নেগিটিভ সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়ে বাংলাদেশে পাঠায়।  কিন্তু বাংলাদেশে আসার পর যাত্রীদের মুখোমুখি হতে হয় চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের চাঁদাবাজী অার হয়রানীর স্বীকার। গত ২০ শে আগষ্ট আগরতলা আখাইড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে চিকিৎসাধীন আটকাপড়া যাত্রীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে প্রবেশের পর চেকপোস্টে স্থানীয় হেলথের কর্মকর্তাগন তাদের স্বাস্থ্য পরিক্ষা করে। এরপর তাদের বিজয়নগর হাসপাতালে আইসোলেশনের ব্যাবস্থা করে। কিন্তু যারা জটিল রোগী বা বিভিন্ন অপারেশনের,  ক্যান্সারের রোগী তাদের ছেড়ে দেওয়ার বিধান থাকলেও তাদের ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রাখে। জানা যায় যে, রোগীর সাথে থাকা অভিবাকের পাসপোর্ট আটক রেখে দাবী করা হয় মোটা অংকের টাকা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের আখাউড়া চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মোঃ হানিফ তার পিয়ন রতনের মাধ্যমে সহজে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার নামে পাসপোর্ট জব্দ করে। এরপর রোগীদের বলে আপনারা চলে যান, আর যারা রোগীর সহযোগী তাদের পাসপোর্ট আটক রেখে দাবী করে মোটা অংকের টাকা। তাদের সহযোগী ও দালালচক্র একাজে সক্রিয়।

 ভুক্তভোগী ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুইরোগী জানান, আমাদের ক্যান্সার রোগীর পাস দিয়ে দিয়েছে, কিন্তু আমাকে আটক রেখেছে। এতে আমার স্ত্রী দীর্ঘসময় বসে থেকে কঠিন অসুস্ত হয়ে পড়ে। আমি অনুমিত নেওয়া স্বত্বেও আমার আমাকে তারা আটক রাখে, আমি ব্যাতিত আমার স্ত্রী কিভাবে যাবে। তার কোন ক্ষতি হয়ে গেলে দায়ভার কে নিভে?তারা আমাকে আটক রেখে আমার স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া মানে আমাদের দুজনকে আটক রাখা। সকাল ৮ টা থেকে তারা আমাদের চেকপোস্টে আটক রাখে। দুপুরে ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টে হেলথকর্মকর্তাদের পাঠিয়ে দেন। তারপর তারা আমাদের উল্টো বলে আমরা আটকায়নি রেখেছেন ডাক্তারেরা। আর ডাক্তারেরা বলেন, আমরা রাখিনি, আমাদের কাজ শেষ বাকি কাজ চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন জানে।ভোক্তভোগী তিনি আরো জানান, ওরা অামার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা চায়, না হয় বিজয়নগর করোনা রোগী বলে চালান করে দেবে। তারা যদি আটক রাখতে হয় আমাদের স্বামী স্ত্রী দুজনকে আটক রাখুক,  আইসোলেশনে রাখুক। কিন্তু এটা কেমন কথা যে একজনকে রাখবে আরেকজনকে ছেড়ে দেবে? হয়তো দুজনকে রাখুক না হয় আমাদের দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হোক। এরপর ঢাকার দুজন মহিলারোগীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমি ৬৫ বছর বৃদ্ধা, আমার মেয়ে ক্যান্সারে অাক্রান্ত অপারেশন রোগী। ওরা আমার মেয়েকে ছেড়ে দিয়েছে আমাকে আটক রেখেছে। আমি নিজে ডায়াবেটিস রোগী, আমার স্বামী একজন রিটার্ট সেনাঅফিসার ও মুক্তিযোদ্ধা।  ওরা ( ইমিগ্রেশন পুলিশ হানিফ তারসহযোগীরা এবং পিয়ন রতন? অামার পাসপোর্ট আটক রাখে, আমার মেয়েকে চলে যেতে বলে আমাকে নাকি যেতে দেবে না। বিজয়নগর মেডিকেল পাঠাবে। আমাদের দুজনকে আটক রাখুক না হয় দুজনকে ছেড়ে দেয়া হোক, কিন্তু আমাদের কেন হয়রানী করলো তারা। সকাল আটটা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত রোদ ও বৃষ্টিতে তারা আমাদের হয়রানি করলো। আমাদের করোনা টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এখনো ৪৮ ঘন্টা হয়নি। তারপরো ৭২ ঘন্টার আগে তারা কেন মিথ্যা টেস্ট করার নামে আমাদের কষ্ট দিচ্ছে। এরপর আমাদের কিছু বরফের ইনজেকশন ছিলো, যার দাম ২ লক্ষ টাকার উপরে। আমাদের সে ঔষধ গুলো পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। তারা আমাদের বলে আপনারা রোগী চলে যান, বাকিরা থাকেন। এ কেমন কথা রোগীর অভিবাবক ব্যাতিত কি করে যাবে? আমাদের কোন ক্ষতি হয়ে গেলে আমাদের দায়ভার আপনারা নিবেন? তারপর হানিফ বলেন। আপনারা মরে গেলে আমার কি? সেটা আমার বিষয় না, সেটা সরকার জানে।

এরপর মোঃ হানিফ বিকাল চারটায় বিজয়নগর মেডিকেলের এম্বুলেন্স এনে সবাইকে পাঠিয়ে দেন। রোগীদের অভিযোগ সকাল আটটা থেকে কেন চারটা পর্যন্ত আমাদের আটক রাখলেন। প্রয়োজনে তখন এম্বুলেন্সে করে আমাদের সবাইকে মেডিকেলে নিতেন, হয়ত রোগীসহ আমাদের অভিভাবকদের ছেড়ে দিতেন না হয় তখন গাড়ি আসলে আমরা নিজ দায়িত্বে আসতাম। এরপর এম্বুলেন্সে আসা পুলিশের কাঝছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের কি দোষ? উনি যখন আমাদের আসতে বলবে আমরা তখন আসি। চারটায় আসতে বলছে চারটায় আসলাম, সকালে বললে সকালে আসতাম। এম্বুলেন্স ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলে সেই একই জবাব দেন তিনি। তারপর  পাঁচজন সবাইকে নিয়ে যায় ব্রাম্মনবাড়িয়া বিজয়নগর হাসপাতালে। সেখানে নেই কোন রোগী,  নেই কোন ডাক্তার। জনমানবশূন্য একটি মেডিকেল। এরপর সকলকে নিয়ে তারা একরুমে আটক করে। এরপর তারা চাপদেয় মোটা অংকের টাকা। টাকা যে দিতে পারে, তাকে নেগেটিভ সার্টিফিকেট দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। আর যারা টাকা দিতে পারে না, তাদের করোনা রোগী বলে ঢাকা চালান করে দেবে বলে ভয় দেখায় সেখানের দালালচক্র ও এম্বুলেন্সে থাকা পুলিশ। পরে  ডাক্তারবিহীন, নার্সবিহীন জনমানবশূন্য সেখানে পুলিশের দায়িত্বরত লোক, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় তাদের নিজ হাতে বানানো ছাড়পত্র দিয়ে।এসব সিভিলসার্জনকে ফোন দিয়ে তিনি জানান, ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন না থাকাটা দুঃখজনক।তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।উল্লেখ্যে যে, ভারত থেকে মেডিকেল শেষ করা রোগীরা এভাবে প্রতিনিয়ত হয়রানীর স্বীকার মোঃ হানিফ ও তার দালাল সহযোগীদের দ্বারা।

শেয়ার করে বাংলাদেশ চিত্রের সাথেই থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য আমরা দায়ী নই। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর সরাসরি ‘siddhartha tv’ কে জানাতে ই-মেইল করুন- siddharthatv.com@gmail.com। আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 sidharthatv.com
কারিগরি সহযোগিতায়: